সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা
সরিষাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর শিশু কনা খাতুন (৪) হত্যার চারদিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছেন জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এম আব্দুল্যাহ ইবনে মাছুদ আহম্মেদ। রোববার দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউ পি’র মাঝালিয়া গ্রামের মামলার বাদী আবুল কালামের বাড়ীর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১০ জুন বুধবার রাতে সৎ মা রীনা বেগমের নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে শিশু কনা খাতুন। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার পায়তারায় লাশটি বাড়ীর পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে রাখেন।পরে করোনাভাইরাসের ভয় দেখিয়ে রাতেই তড়িগড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের দানা বেধে উঠে। এক পর্যায়ে নিহত কনা খাতুনের পিতা আবুল কালাম খান পরদিন থানায় অভিযোগ করে স্ত্রী রীনা বেগমের বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্ত শেষে গত শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৎ মা রীনা বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রোববার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও থানা পুলিশের সহায়তায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করেন।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি ফজলুল করিম জানান, শিশু কনা খাতুনে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সৎ মা রীনা বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী ফলাফল জানা যাবে কনার লাশ পোষ্টমটেম রিপোর্টের পর।
Leave a Reply