মহেশখালী থেকে দেশীয় তৈরী বন্ধুক ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, মহেশখালী:: মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের খালের উত্তরকুল এলাকার জনৈক উসমান গনির দুই ছেলের মধ্যে আজ বিকেল ০৩ ঘটিকার সময় পারিবারিক জায়গা জমি ভাগ বন্টনের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় উসমান গনির বড় ছেলে ফরিদ, তার আপন ছোট ভাই ও তার মাকে বেধড়ক মারধর করেন। তাতেও ফরিদ থেমে থাকেনি, হঠাৎ ফরিদ তার ছোট ভাইকে উদ্যেশ্য করে একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে খুন করার উদ্যশ্যে সামনে আসতে দেখলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ফরিদের হাতে থাকা বন্দুকটি কেড়ে নেই এবং তা মহেশখালী থানার এস আই মনিষ সরকারের নিকট হস্তান্তর করেন।
অস্ত্রের মালিক ফরিদ এখনো পালাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত বিষয়ে ফরিদের মা জানান, তার বড় ছেলে তার বউ সহ আজকে সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে তাদের পৈত্রিক জায়গা জমি ভাগ বন্টনের জের ধরে আমার ছোট ছেলের উদ্যেশ্যে গালিগালাজ ও মারপিট করতে দেখে আমি বাড়ী থেকে বের হয়।
আমাকে দেখার পরপরই আমার বড় ছেলে আমাকেও ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেই।
পরে যখন আমার ছোট ছেলে আমাকে মাটি থেকে উঠাতে আসল তখনি আমার বড় ছেলে তার কাছে থাকা লুকায়িত দেশীয় তৈরী বন্দুক বের করে আমার ছোট ছেলের দিকে হত্যার উদ্যেশ্যে এগিয়ে আসতে দেখে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আমার বড় ছেলে ফরিদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী বন্ধুকটি কেড়ে নেই এবং তাৎক্ষনিক পুলিশকে খবর দেই।
পুলিশ আসার আগেই আমার বড় ছেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের কাছ হতে ফরিদের তৈরী বন্দুকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি(তদন্ত) আশিক ইকবাল জানান, ছোট মহেশখালী থেকে এস আই মনিষ সরকার ভাই ও ভাইয়ের মধ্যে সৃষ্ট দন্ডের ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটা বন্ধুক উদ্ধার করেন।উক্ত কাটা বন্ধুক ফরিদ নামের এক ব্যাক্তির বলে জানা গেছে এবং যেহেতু সে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যাওয়ার আগেই পালাতক সেহেতু তার নামে মহেশখালী থানায় অস্ত্র মামলা রুজু করা হবে।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাত নিয়েছি মামলার বাদী কোন পাবলিক হতে আগ্রহী নই ৷ এটা আমাদের থানা এসআই কে বাদি করে মামলা এন্ট্রি পক্রিয়াধীন এবং অবিশ্যয় মামলা হবে ৷
Leave a Reply