আল জাবের, উপকূলীয় প্রতিনিধি
সড়কের বেশির ভাগ স্থানে পিচ নেই। একটু পরপর বড় বড় গর্ত। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে যানবাহন চলাচল করছে। এ চিত্র কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজার সড়কের চিত্র। এতে দুটি উপজেলার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ পাশ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলার লোকজন প্রতিনিয়ত সওদা করতে আসে বদরখালী বাজারে।
আজ ১৫ জুলাই মঙ্গলবার সরেজমিনে বদরখালী বাজারে সড়কের পাশের এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটি উপকূলীয় এলাকার ব্যস্ততম বদরখালী বাজারের প্রধান সড়ক।
বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বলেন অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল ও বাজারে বড় বড় গাড়ী রেখে মালামাল লোড আনলোড করার কারণে বাজারের ভিতরের সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। গত বর্ষা মৌসুম থেকে এ সড়কে যাতায়াতে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহেশখালী বদরখালী সংযোগ সেতুর ফেরীঘাট স্টেশন থেকে বদরখালী বাজারের উত্তর সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশে দুই শতাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে। এ কারণে বাজার এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। এতে মাথা ব্যাথা নাই স্থানিয় চেয়ারম্যান খাইরুল বশরের বলে ও জানান পথচারী লোকজন। অথচ উক্ত বাজারে অঘোষিত গাড়ী স্টেশন ও হকার স্থাপনের সুযোগ করে দিয়ে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করে থাকে স্থানিয় চেয়ারম্যান বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
বদরখালী ফেরীঘাটের গাড়ীর লাইন্সম্যান মোহাম্মদ মামুন বলেন, বদরখালী বাজারর এলাকায় শত শত গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব গর্তে প্রায়ই যানবাহন আটকা পড়ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে, যানজটও লেগে থাকছে। পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বদরখালী বাজার ব্যবসায়ী মোঃ জুনাইদ বলেন, বদরখালী বাজার উপকূলের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় পাশ্ববর্তী মহেশখালীর লোকজন এখানে কেনাকাটা করতে আসেন। কিন্তু বাজারের প্রধান সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ায় ব্যবসায় চরম ক্ষতি হচ্ছে।
সবপেশার লোকজন সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। ###
Leave a Reply