এ ছাড়া শ্রমিক পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রবি, শ্রমিক নেতা নাজমা আক্তার প্রমুখ। সূত্র জানায়, গতকালের বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা ছিল শ্রমিকদের ঈদ বোনাস। মালিকরা কীভাবে ঈদ বোনাস দেবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে, করোনার প্রভাবে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়ে যায়। কাজ না থাকায় অনেক মালিক সরকারি সাধারণ ছুটিতে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে। এর পর মার্চের বেতনের দাবিতে ছুটি চলাকালীনই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে শ্রম ভবনে দফায় দফায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। গত ৪ মে অনুষ্ঠিত সে বৈঠকে এপ্রিল মাসে ৬৫ শতাংশ বেতনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদস্য ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী আমাদের সময়কে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব মালিকের পক্ষে পুরো বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়, তাই যাদের সক্ষমতা আছে, তারা পুরো বোনাস দেবেন আর যাদের সমস্যা রয়েছে, তারা গত বছরের যে পরিমাণ বোনাস দিয়েছে, তার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ দেবেন। বাকি অংশ আগামী ছয় মাসে সমন্বয় করে পরিশোধ করবেন।জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমরা সবাই অবহিত। তাই আমরাও একমত পোষণ করেছি। শ্রমিক নেতা নাজমা আক্তার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই ভালো নেই। শিল্পের দিকটিও বিবেচনা করতে হবে। সে হিসাবে আমরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।
Leave a Reply