চাল-ডাল ও শাক-সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য বিক্রিতে প্রধান সিন্ডিকেট খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
দৈনিক এটিএম নিউজ ডেক্স!
—
পাইকারিতে ভালো মানের কাঁচা মরিচ-৮০ টাকা কেজি,,,, পাকা ও আধা পঁচা কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি
:: খুচরা বিক্রেতারা ৮০ টাকার কাঁচামরিচ ২০০/২৫০ টাকা আর ৬০ টাকার কাঁচা মরিচ ১৬০/১৮০ টাকাতে বিক্রি করছে
—
এটি একটি খাদ্যপণ্যে বিক্রিতে খুচরা বিক্রেতাদের ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য দেয়া হলো— বাকি সকল শাক-সবজির ক্ষেত্রে দ্বিগুন-তিনগুন লাভ করলেও অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে—অভিযোগ আর দিয়েছে তদন্ত আর হয়েছে??? তরকারি বিক্রির লাভের ভাগ হাতি-পিঁপড়া সবাই পায়।
—
পাইকারি বিক্রেতারা সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে এরা কখনই সুযোগের সৎ ব্যবহার করে না। সুযোগের সর্বোচ্চ সুবিধা নেয় খুচরা বিক্রেতারা (এরাই সিন্ডিকেট প্রধান) এরা নিয়ন্ত্রণ করে সরাসরি কৃষকদের (রাজনৈতিক নেতা, তাদের ছেলে-নাতী বংশ ধর) এরাই এখন প্রকৃত কৃষক। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কৃষি বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এসব কৃষকরা। আর কৃষকদের অধিক লাভের ভাগ দিয়ে, বাকি লাভের অংশ উদ্ধার করে সাধারণ জনগণের পকেটে আগুন ধরিয়ে দিয়ে খুচরা বিক্রেতারা।
—
শাক-সবজি উৎপাদনে আমরা সাবলম্বী। আমাদের আমদানি করতে হয় না,,,সারা বছরই বিদেশে শাক-সবজি রপ্তানি হয়। দেশে শাক-সবজির সঙ্কট বা সরবরাহ কম থাকলে রপ্তানি কিভাবে হয়? সারা বছরই শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। মৌসুমের আগেই শাক-সবজি বাজারে চলে আসে, অতি লাভের আশায় আগেই সিম-ফুলকপি-লাউ-বাধাকপি সবই আছে। মৌসুমের আগে থেকেই মৌসুমের শাক-সবজি বিক্রি না করলে অধিক লাভ কিভাবে হবে। উৎপাদন হোক কৃষক লাভ করুক, আমরা নেবো জনগণের পকেটে আগুন ধরিয়ে দিয়ে- খুচরা বিক্রেতা।
—
বিপুল পরিমান দেশি পেঁয়াজ রয়েছে পাইকারি আড়তগুলোতে। খুচরা বিক্রেতাদের ভাষ্য, দেশি পেঁয়াজ নাই, দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০/৫০ টাকা কেজিতে। ভ্যান গাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকাতে। খুচরা বাজারে ১০০/১২০ টাকায়।
Leave a Reply