এটিএম নিউজ, চট্টগ্রামঃ
নগরীর ১২টি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এছাড়া চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও মেডিকেল কলেজগুলোতে কত রোগী ভর্তি এবং তাদের কী কী চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে তা উল্লেখ করে আগামী ২২ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গতকাল সোমবার হাই কের্টের বিচারক জে বি এম হাসান এই নির্দেশ দেন। এর আগে আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. আজিজুল ইসলাম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের দ্রুত, কার্যকর ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ মতে চট্টগ্রামের আইসিইউ শয্যা ও ভেন্টিলেশন সুবিধা সম্বলিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ভর্তি এবং সুচিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন (নং-১৩৭ (এনেক্স-২৪)/২০২০) দাখিল করেন। তাদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সহসম্পাদক অ্যাড. বাকির উদ্দিন ভূইয়া।
এই ১২ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে রয়েছে, পার্কভিউ হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, ইস্পেরিয়াল হাসপাতাল, সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ডেল্টা হাসপাতাল, সিএসটিসি হাসপাতাল, সিএসসিআর হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, এশিয়ান হাসপাতাল, ওয়েল হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল ও মেট্রাপলিটন হাসপাতাল।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সহসম্পাদক অ্যাড. বাকির উদ্দিন ভূইয়া জানান, চট্টগ্রামে করোনা রোগীর আইসিইউ এবং শয্যা সংকটের কথা প্রতিদিনই গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হচ্ছে। তাই সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে আদালতে একটি রিট দাখিল করা হয়েছে। আদালত চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল গত ৪ এপ্রিল। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ এই অবস্থান থেকে সরে আসে। গত কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দৃশ্যত যে চিকিৎসা সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের উল্লেখিত দুজন আইনজীবী ওই প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট শীঘ্রই ৪ এপ্রিল দেওয়া চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ।
Leave a Reply